সালেহ্ বিপ্লব, ইমামুল হক: [৩] যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস। 

[৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান শেখ হাসিনা।

[৫] পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার মহান স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল সে সময় রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়।

[৬] ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের শিকার অন্যান্য শহীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। 

[৭] জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহা পরিদর্শক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

[৮] আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে দলের সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

[৯] প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে মন্ত্রিসভার সদস্য, তাঁর উপদেষ্টা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন। 

[১০] এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন। তিনি ফাতেহা পাঠ করেন ও মোনাজাতে অংশ নেন।

[১১] রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

[১২] রাষ্ট্র প্রধান সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার  প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

[১৩] এরআগে সকাল ৬টা ২৮ মিনিটে রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান।

[১৪] পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উভয়ই সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

[১৫] এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

[১৬] বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে-শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ও তাঁর তিন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কাল রাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা সেই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। সম্পাদনা : শামসুল হক বসুনিয়া